বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন । আমরা সকলেই অবগত আছি এবার বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার অনেক অঞ্চল এখন পানির নিচে। উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে বিরাজমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, পদ্মা-যমুনাসহ অধিকাংশ নদীর পানি বাড়ায় নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল এখন পানির নিচে। বানভাসি সেই সব মানুষের কষ্ট এখন চরমে। না পারছে কিছু খেতে না পারছে চলাচল করতে। কেউন টিনের চালে আবার কেউ এখন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। সাপের ভয় কাজ করছে।
অনেক শিশু পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। তাদের খাদ্য সঙ্কট দেখা দিচ্ছে, বিশুদ্ধ পানির অভাব, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় আমি ও আমরা কিছু ভাই মিলে আমাদের এলাকার কিছু মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আমাদের টার্গেট অন্ততপক্ষে ১০০০ পরিবার কে সাহায্য করব। আমার বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন এর অনেক গ্রাম এখন পানির নিচে। তারা কষ্টে বসবাস করছে। আমরা আদবাড়িয়া, বাইনাবান্ধা ও ব্যাপারিপাড়ার প্রায় ১০০০ পরিবারকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা এই ১০০০ পরিবারকে আমরা শুকনা খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন, ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দিব।
চেষ্টা থাকবে যত বেশি মানুষের কাছে পৌছানো যায়। এই তিন এলাকার জন্য আমরা আপাতত এক লক্ষ ১,০০,০০০ টাকার টার্গেট নির্ধারণ করেছি। তাই আপনারা যে যাভাবে পারেন এই বন্যার্ত মানুষের জন্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। যাতে করে তাদের অন্তত পক্ষে আমরা খাদ্য কষ্ট থেকেও মুক্ত করতে পারি।
"আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ (صلى الله عليه وسلم) এর নিকট আরজ করল, কোন ইসলাম (ইসলামের কোন কাজ) সর্বোত্তম? তিনি বললেন, (ক্ষুধার্তকে) খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া।" ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা আল্লাহর প্রতি ভালবাসার টানে খাদ্য দান করে অভাবী, ইয়াতীম ও কয়েদীদেরকে’ (দাহর ৭৬/৮)। ‘তারা বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি, তোমাদের নিকট এর কোন প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও কামনা করি না’ (দাহর ৭৬/৯)। তাই আমরা ক্ষুধার্ত দরিদ্র ব্যক্তিকে খাদ্য দানের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনকারী বান্দা হিসাবে গণ্য হ’তে পারি।